Monday, September 18, 2023



 মনখারাপেও ভালো থাকি...


ফজরের নামাজপড়ে, 

একথোকা বিষন্নতা নিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়েছিলাম।

শরতের আকাশ!

নিবিড় নীলিমার বুকে সাদা-সাদা মেঘ ভেষে যাচ্ছে। 

দক্ষিণা বাতাস এসে নিমন্ত্রণ জানালো!


ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ উপন্যাসটি নিয়ে ছাদে গেলাম।

সন্ধ্যারাতের একপশলা বৃষ্টি এখনো জমে আছে রেলিংয়ে।

ফুলের টবগুলোতে নানারকম ফুল ফুটেছে,

দক্ষিণা হাওয়ার মৃদু ঝাপটায় আবার তা দুলছে।

মনে হচ্ছে, ইশারায় আমাকে কাছে ডাকছে।

আমি তাদের খুব কাছে ছুটে গেলাম,

আরও কাছে গেলাম।

আহ, কী মিষ্টি সৌরভ ছড়াচ্ছে!

পাপড়িগুলোতে বিন্দু বিন্দু শিশির জমে আছে।

পাতাগুলো সবুজে-সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে!

একটি গন্ধরাজের দিকে হাতবাড়াতেই...


শোঁ শোঁ আওয়াজ শুনে, আকাশের দিকে তাকালাম।

দেখি,

ঘন নীলিমার মাঝে, সাদা মেঘের বুক চিরে

—একটি বিমান বেড়িয়ে আসছে।

শারদীয় আকাশে বিশাল-বিস্তৃত ডানামেলে,

আমার দিকে ছুটে আসছে।

দেখতে-দেখতে, বিরাটকার দেহ নিয়ে

—মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো এয়ারপোর্টে। 


ছুঁয়ে দেয়া ফুলের দিকে তাকালাম।

কোথা থেকে একটি দোয়েল উড়ে এসে বসলো রেলিংয়ে।

একদম বেলীফুলের গা ঘেঁষে। 

লেজ দুলিয়ে মিনিটখানেক শীষ দিয়ে চললো।

সেই সাথে বেলীফুলও মৃদু বাতসে দুললো!

ওদের বন্ধুত্বে যেন কতোটা ভাব!


দোয়েলটা পূর্বদিকে ডানা ঝাপটাতেই দেখি,

পূর্বাকাশে সাদা সাদা মেঘ ভেষে যাচ্ছে... 

তার ভিতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে সূর্য! 

সাদা মেঘ ফুঁড়িয়ে আলোর ফোয়ারা বেরিয়ে আসছে...

থেকে থেকে দু'একটা দাঁড়কাক উড়ে যাচ্ছে সেদিকে।

পুরো আকাশে যেন মুঠোমুঠো ভালোলাগা ভাসছে...

একটা সাদা গোলাপের দিকে তাকালাম।

মনে হচ্ছে, মুচকি-মুচকি হাসছে!

আমি তার কাছে এসে দাঁড়ালাম।

তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই—

একথোকা ভালোবাসা তুলে দিলো!




No comments:

Post a Comment

জনপ্রিয় আর্টিকেলগুলো দেখুন....

নিঃশব্দ অন্তর্ধান

  কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো, চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো— ধীরে ধীরে। কোনো অভিযোগ না রেখে। কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে। সেদিন হয়তো...