বিছুটি পাতা। কবি এখানে ‘বুঝপাতা’ নামে সম্বোধন করেছেন।
বুঝপাতা!
গ্রীষ্মের অলস দুপুরে পুকুরপাড়ে বসেছিলাম।
সজনেগাছের পাতাগুলো বাতাসের মৃদু ঝাপটায় দুলছিলো। রোদের কিরণে পুকুরের পানিগুলোও চিকচিক করছিলো।
হিমশীতল পূবালী বায়ুতে কাঁচাধানের মৌ মৌ গন্ধ ভেঁষে আসছিলো।
পুকুরের ওপারে কৃষ্ণচূড়ার ডালে— একটি মাছরাঙা উড়ে এলো।
চোখ ফেরাতেই (!) পাশের ঝোপঝাড়ে তোমাকে দেখতে পেলাম।
কি এক মায়াবী রূপ তোমার!
হাঁটি হাঁটি পায়ে তোমার কাছে এলাম। ছুঁয়ে দিলাম তোমার তনুমন।
এ-কি! তোমার রূপের ঝলসানিতে উভয় হাত আমার ঝলসে গেলো! ফুলেফেঁপে রক্তিমবর্ণে শিক্ত হলো!
চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরলো!
চাচাত ভাই এলো। জানতে চাইলাম তোমার পরিচয়।
কি যেন বলেছিলো সেদিন (?) আজ আর মনে নেই।
বহুদিন পর...
আজ আবার তোমাকে দেখতে পেলাম।
পাশের ফ্লাটের বেলকনিতে— ভরা রূপের উত্থাল যৌবনে!
মনেপড়ে গেলো, অশ্রুঝরার কারণ।
তুমি সেদিনের রূপসী বুঝপাতা!
No comments:
Post a Comment