Monday, September 25, 2023
Friday, September 22, 2023
মানুষ মূলতই একাকী
রাতের আকাশ জানে, একাকী সে তারা-
আঁধারেই ঝরে পড়ে, পড়ুক।
নির্ঘুম রাত জানে, চোখের পাতায় জমে-
অজানা এক অসুখ।
ভুলে গেলে ভালো থাকা যায় জানি,
তবু চাই কিছু ব্যথা ফিরে আসুক।
কেউ একজন হয়ে থাক দুরারোগ্য ব্যাধি!
যতটুকু কাছে যাই ততটুকু দূরে সরে আসি,
মানুষ মূলত আজন্ম নিঃসঙ্গতার চাষি।
Thursday, September 21, 2023
শহুরে কাউয়া
কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে শহরের রাস্তায়,
আবার রোদ উঠলো।
শরতের আকাশে সাদা-কালো মেঘ ভেষে যাচ্ছে।
সমতল ফুটপাতে শিরদাঁড়া দাঁড়িয়ে আছে—
রাধাঁচূড়া আর কৃষ্ণচূড়া গাছ।
এইসব ফুলেদের ফেলে—
ঝুঁকেপড়া নিমগাছটার দিকে তাকাতেই কেঁপে উঠল বুক!
গাছের নিচে ছিটকেপড়া রোদে একটা কাক উড়ে এলো,
মুখে তুলে নিলো— একটা সরু গাছের ডাল!
Wednesday, September 20, 2023
নিজের ভালোলাগা ও মন্দলাগাগুলো কারো সাথে ভাগ করবেন না। সবসময় পৃথক থাকুন। প্রকৃতির সাথে কথা বলুন। দেখবেন, মনখারাপের দিনগুলোও ভালোলাগায় ভরে উঠবে।
Tuesday, September 19, 2023
মনভালো নেই, ক'দিন থেকেই মনমরা হয়ে আছি,ভাল্লাগে না কিছুই যেন কেমন হয়ে গেছি! 😔
Monday, September 18, 2023
মনখারাপেও ভালো থাকি...
ফজরের নামাজপড়ে,
একথোকা বিষন্নতা নিয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়েছিলাম।
শরতের আকাশ!
নিবিড় নীলিমার বুকে সাদা-সাদা মেঘ ভেষে যাচ্ছে।
দক্ষিণা বাতাস এসে নিমন্ত্রণ জানালো!
ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ উপন্যাসটি নিয়ে ছাদে গেলাম।
সন্ধ্যারাতের একপশলা বৃষ্টি এখনো জমে আছে রেলিংয়ে।
ফুলের টবগুলোতে নানারকম ফুল ফুটেছে,
দক্ষিণা হাওয়ার মৃদু ঝাপটায় আবার তা দুলছে।
মনে হচ্ছে, ইশারায় আমাকে কাছে ডাকছে।
আমি তাদের খুব কাছে ছুটে গেলাম,
আরও কাছে গেলাম।
আহ, কী মিষ্টি সৌরভ ছড়াচ্ছে!
পাপড়িগুলোতে বিন্দু বিন্দু শিশির জমে আছে।
পাতাগুলো সবুজে-সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে!
একটি গন্ধরাজের দিকে হাতবাড়াতেই...
শোঁ শোঁ আওয়াজ শুনে, আকাশের দিকে তাকালাম।
দেখি,
ঘন নীলিমার মাঝে, সাদা মেঘের বুক চিরে
—একটি বিমান বেড়িয়ে আসছে।
শারদীয় আকাশে বিশাল-বিস্তৃত ডানামেলে,
আমার দিকে ছুটে আসছে।
দেখতে-দেখতে, বিরাটকার দেহ নিয়ে
—মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো এয়ারপোর্টে।
ছুঁয়ে দেয়া ফুলের দিকে তাকালাম।
কোথা থেকে একটি দোয়েল উড়ে এসে বসলো রেলিংয়ে।
একদম বেলীফুলের গা ঘেঁষে।
লেজ দুলিয়ে মিনিটখানেক শীষ দিয়ে চললো।
সেই সাথে বেলীফুলও মৃদু বাতসে দুললো!
ওদের বন্ধুত্বে যেন কতোটা ভাব!
দোয়েলটা পূর্বদিকে ডানা ঝাপটাতেই দেখি,
পূর্বাকাশে সাদা সাদা মেঘ ভেষে যাচ্ছে...
তার ভিতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে সূর্য!
সাদা মেঘ ফুঁড়িয়ে আলোর ফোয়ারা বেরিয়ে আসছে...
থেকে থেকে দু'একটা দাঁড়কাক উড়ে যাচ্ছে সেদিকে।
পুরো আকাশে যেন মুঠোমুঠো ভালোলাগা ভাসছে...
একটা সাদা গোলাপের দিকে তাকালাম।
মনে হচ্ছে, মুচকি-মুচকি হাসছে!
আমি তার কাছে এসে দাঁড়ালাম।
তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই—
একথোকা ভালোবাসা তুলে দিলো!
Sunday, September 17, 2023
❝
ইচ্ছেগুলো ইচ্ছেমতো মাটিচাপা দিয়ে দাও, সুখী হতে পারবে!
❝
অনেকটা সময় পর, আজ আমি বুঝতে পারলাম- তোমার কাছে এখন আমি অর্থহীন। গলায় আঁটকে যাওয়া কাঁটার মতো। না পারছো গিলে নিতে, না পারছো ফেলে দিতে। আমি বুঝি, আমার চলে যাওয়া উচিত, তারপরেও চলে যাই নি। তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে; কিন্তু আর কতো! কারো চোখের বালি হয়ে থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভালো। কখনো যদি মনেপড়ে নক্ দিও, জবাব দিবো। তবে আগের মতো করে মিথ্যে আবদার নিয়ে এসো না... ❞
Saturday, September 16, 2023
তোমাকেই ভালোবাসি
![]() |
[M-A] |
তোমাকে ভালোবেসে অনন্তকাল অপেক্ষা করতে রাজি। যদি কখনো একটি কদমফুল হাতে নিয়ে এসে দাঁড়াও আমার মনের দরজায়। আকাশে অনেক মেঘ জমা করে রেখেছি তোমার বিরহে। কখনো এলে— একপশলা বৃষ্টিতে ভিজিয়ে, মেঘের গর্জন শোনাবো। রোদের খরতায় শুকিয়ে যাবে চোখের কোণের অশ্রু। তবুও তোমার স্বপ্নে বিভোর হয়ে- কেবল তোমাকেই ভালোবাসবো। তুমিহীনা চাইনা পৃথিবী, চাইনা স্বর্গলোক। তুমিহীনা আমিই তো নেই; তবে কেন এতো লোভ! তোমাকে ভালোবাসি। তবুও ভালোবাসি জন্ম থেকে জন্মান্তরে...
Thursday, September 14, 2023
ভালোবাসা!
ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়।
যখন দেখি—
আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা।
সবুজের মাঠে গরু-ছাগলের আনাগোনা।
সোনালী ধানের মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা;
আর পূবালী বায়ুতে কদমের দোল খাওয়া
তখন আমি—
কি আনন্দে একা একাই কথা বলি!
আমি ভিন্ন কিছু দেখেছি
আমি যা দেখেছি,
যদি তোমরা কেউ দেখতে-
অন্ধত্ব কামনা করতে!
আমি যা শুনেছি,
যদি তোমরা কেউ শুনতে-
ইতোপূর্বে ঠসা বনিতে চাইতে!
আমি যা লিখেছি,
যদি তোমরা কেউ লিখতে-
কালি ফুরোবার বাহানা করে বসতে!
আজ আমার জীবনে যা ঘটছে,
যদি তোমাদের জীবনে ঘটতো-
মৃত্যুকামনা করতে!
ব্যর্থতা
জীবনে পাওয়ার চেয়ে না পাওয়ার হিসেবটাই যখন বড় বলে মনে হয়; তখন তাকে ব্যার্থতা বলে। আর ব্যার্থতা যদি মনকে চরমভাবে আচ্ছন্ন করেরাখে— তখন হতাশার পাখিরা ঝাঁকবেধে ডানাঝাপটানো শুরু করে। তখন নীতিবাক্য আর যুক্তিবাক্য যা-ই বলুন, মনের ওপর তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। মন হয়ে ওঠে দুর্বার, দুর্দমনীয়! কখনও বা হয়ে ওঠে প্রতিশোধপরায়ণ!
সুখের লাল-নীল স্বপ্নগুলোর আশায়,
কাটিয়েছি হাজার দিবস-রজনী।
তবুও আসেনি সেই ক্ষণ!
আজও জানিনা,
দুঃখের ঘোর অমানিশা কাটবে কি-না।
হবে কি-না সুখের সূর্যোদয়!
না-কি এভাবেই কেটে যাবে বাকি জীবন—
সুখের লাল-নীল স্বপ্নীল আশায়...
বিছুটি পাতা
বিছুটি পাতা। কবি এখানে ‘বুঝপাতা’ নামে সম্বোধন করেছেন।
বুঝপাতা!
গ্রীষ্মের অলস দুপুরে পুকুরপাড়ে বসেছিলাম।
সজনেগাছের পাতাগুলো বাতাসের মৃদু ঝাপটায় দুলছিলো। রোদের কিরণে পুকুরের পানিগুলোও চিকচিক করছিলো।
হিমশীতল পূবালী বায়ুতে কাঁচাধানের মৌ মৌ গন্ধ ভেঁষে আসছিলো।
পুকুরের ওপারে কৃষ্ণচূড়ার ডালে— একটি মাছরাঙা উড়ে এলো।
চোখ ফেরাতেই (!) পাশের ঝোপঝাড়ে তোমাকে দেখতে পেলাম।
কি এক মায়াবী রূপ তোমার!
হাঁটি হাঁটি পায়ে তোমার কাছে এলাম। ছুঁয়ে দিলাম তোমার তনুমন।
এ-কি! তোমার রূপের ঝলসানিতে উভয় হাত আমার ঝলসে গেলো! ফুলেফেঁপে রক্তিমবর্ণে শিক্ত হলো!
চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরলো!
চাচাত ভাই এলো। জানতে চাইলাম তোমার পরিচয়।
কি যেন বলেছিলো সেদিন (?) আজ আর মনে নেই।
বহুদিন পর...
আজ আবার তোমাকে দেখতে পেলাম।
পাশের ফ্লাটের বেলকনিতে— ভরা রূপের উত্থাল যৌবনে!
মনেপড়ে গেলো, অশ্রুঝরার কারণ।
তুমি সেদিনের রূপসী বুঝপাতা!
Wednesday, September 13, 2023
এমন একটা গাছ হতে চাই-
যাতে ফুল ফুটবে না,
ফল ধরবে না।
ভুল করেও প্রজাপতি গান শোনাবে না।
কিন্তু সে বেঁচে থাকবে—
সমস্ত ঋতূর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।
সব অবজ্ঞা, বিরক্ত, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকে
হেলায় উড়িঁয়ে দিয়ে।
আসলে আমি কিছু না পেয়েও
সবকিছু পেতে চাই।
আমি সব হারতে-হারতেও
একবার জয়ের স্বাদ নিতে চাই।
❝ বন্ধুত্ব—একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠার; একে অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত পাগলামি করার একমাত্র আধার এ 'বন্ধুত্ব'। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোট-বড় সবাই বন্ধু হতে পারে। তবে বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা অবশ্যই থাকা চাই তা হল 'ভালোবাসা'। ❞
Tuesday, September 12, 2023
Monday, September 11, 2023
ছুটির দিনগুলোতে.৷
![]() |
[মন ছুটে যায় সবুজের বনে] |
আজকাল শুক্র-শনি এলেই মনের মধ্যে একটা আকুলিবিকুলি শুরু হয়ে যায়, কোথায় যাই, কোথায় যাই! পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে, দিন গিয়ে বা দিন ফুরোবার আগেই ফিরে আসার মতো কোথাও। শুক্র-শনি আসার আগেই মনে মনে খুঁজি এমন সবুজ-শ্যামলে ঘেড়া ছোট্ট বনান্তর বা মাঠ, ঠিক আমার ছোট্ট গ্রামের মতো—যেখানে পাখিরা মুক্তকণ্ঠে গাইবে, প্রজাপতিরা সবুজ ঘাসের ডগায় খেলবে। মৃদু বাতাসের ছোঁয়ায় লতাগুলো দুলবে। সোনালী রোদে সবগুলো ঝলমল করবে। যানবাহনের প্যাঁ পোঁ, মানুষের ছুটাছুটি আর কোলাহল থাকবে না। গাঁয়ের ছেলেরা লুকোচুরি, কানামাছি বা গোল্লাছুটে মেতে উঠবে। থেকে থেকে মাঠে চড়ানো গরু আর মহিষের হাম্বা ডাক ভেষে আসবে...
যেখানে ইট-পাথরের বালাই থাকবে না...
-আহমাদ আযীয।
Sunday, September 10, 2023
জানিনা কি অদ্ভুত একটা মায়া মিশে আছে প্রকৃতির মাঝে,তাই মাঝে মাঝে নিজেকে হারাই প্রকৃতির এই অপরুপ সাজে।
Friday, September 8, 2023
প্রভুকে বললাম শক্তি দাও,
আমি যেন সফলতা লাভ করতে পারি।
তিনি আমাকে দূর্বলতা দিলেন!
ফলে, আমি বিনম্রচিত্তে আদেশ পালন করতে শিখলাম।
আমি চাইলাম, সুস্থতা।
যেন কঠিন কাজের উপযুক্ত হতে পারি।
আমি পেলাম, অশক্ত শরীর!
ফলে, আমি উন্নত কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে পারলাম না।
আমি সম্পদ চাইলাম, যেন সুখী হতে পারি।
তিনি আমাকে দরিদ্র করলেন।
যা আমাকে গভীর জ্ঞান দান করলো।
আমি ক্ষমতা চাইলাম, যাতে মানুষের প্রশংস দৃষ্টি আমার উপর নিবদ্ধ থাকে।
কিন্তু, আমি পেলাম দূর্বলতা।
ফলে, আমি সর্বদাই প্রভুর প্রয়োজন অনুভব করি।
আপনাকে আমার অচেনা লাগে...
মাঝে-মাঝে ভুল বানানে লেখা
নিজের নামের বানানের মতো-
আপনাকে আমার অচেনা লাগে!
আযীয লিখতে গিয়ে-
কেউ যখন 'আজিজ' লিখে
তখন মনে হয়— এ তো আমি নই, অন্য কেউ!
উচ্চারণে এক হয়েও অন্যরকম চলাচল!
ঐ একটি দীর্ঘ-ঈ কার আর অন্তঃস্থ য -এর মঝেই
যেন লেগে আছে আমার আদল!
ভালোবাসাহীন আপনাকে দেখলে-
আমারও কেবল মনে হতে থাকে;
এ-তো আপনি নন, অন্য কেউ!
আজও দেখা মেলেনি তার।
কতো সহস্র রজনী হয়েছে নির্ঘুমে ভোর,
মিথ্যা আশার গল্প শুনে।
কতশত পূর্ণিমা কেটেগেছে এককীত্বে—
বেলকনি আর জানালার পাশে দাঁড়িয়ে।
দিবসে দিপ্তী বিলানো সূর্যি মামাটাও-
বিলিন হয়েছে পশ্চিমে কতশতোবার
—মিথ্যে আশা বুকে নিয়ে।
তবুও দেখা মেলেনি তার।
তবুও মেলেনি...
কতশতো ফুল যৌবন হারিয়েছে,
পাপড়ি গিয়েছে শুকিয়ে।
কতশতো উদ্যান হয়েছে মৃত্যুপ্রায়,
বৃক্ষের সজীবতা হারিয়ে।
ভোমরও গেয়েছে কতশতো গান,
মিথ্যে আশার আয়োজনে।
তবুও দেখা মেলেনি তার।
তবুও মেলেনি...
বয়ে গেছে কতো স্রোতধারা নদী,
কেটেগেছে কতো আষাঢ়ের বান।
গ্রীষ্মও এসেছিলো, শীতও হয়েছে পার,
বসন্তও দিয়েছিলো ভরা উদ্যান।
কবি লিখেছিলো কতশতো কবিতা,
শিল্পী গেয়েছিলো কতশতো গান।
তবুও দেখা মেলেনি তার।
তবুও মেলেনি...
জনপ্রিয় আর্টিকেলগুলো দেখুন....
নিঃশব্দ অন্তর্ধান
কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো, চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো— ধীরে ধীরে। কোনো অভিযোগ না রেখে। কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে। সেদিন হয়তো...
