Wednesday, July 31, 2024

রৌদ্রহীতা

 

রৌদ্রহীতা!
আমাদের বেখেয়ালি গল্পটা কোথায় শুরু হয়েছিলো বলতে পারো? মনে আছে কি তোমার?
ঘটা করে কোন দিন-তারিখের হিসেবে নয়,
বলতে পারো- আড়াইটি বছরের বড্ড তৃষ্ণার্ত, মৃতপ্রায় এক গুচ্ছ আগাছা হয়ে বেড়ে উঠেছিলাম আমরা। কবিতায় যতবার সংসার পেতেছিলাম তোমার সাথে,
বাস্তবে তার চেয়েও বহুবার গুটিয়ে নিয়েছি মন। 
এইতো সেদিনই,
আমার দু’হাতের মুঠোভর্তি সোনালি রঙের অবাধ্য আলো হয়ে— ছিলে তুমি;
যার পরন্ত বিকেলের ছিটকেপড়া রোদে—
ব্যয়বহুল অবসরের ভাগীদার হতাম অল্পক্ষণ।
স্থিরচিত্রে দেখলাম—
তোমার ধূসর রাঙা চোখের উপর আবছা কয়েক গুছি চুল ঝুলছে। জুম করতে-করতে ভুলেই গিয়েছিলাম,
তোমার আর মায়া পুষে রাখার ইচ্ছে নেই।

রৌদ্রহীতা!
ঠিক কখন দুজন-দুজনাকে এক মুহূর্ত 'না দেখে থাকতে পারা'র সময়টুকু পার করে ফেলেছিলাম বলতে পারো?
জানতাম, এভাবে কাউকে চাইতে নেই, চাইতে হয়না।
কারণ, দুজনের বিচ্ছেদে কেউ একজন চলে যেতে পারলেও, অপরজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় আর ভীষণ অপমানের এই মৃত্যু নিয়েই, তাকে অনন্তকালের জন্য ভেবে নিতে হয়—
প্রাপকহীন কোন খামে গুঁজে দেয়া প্রত্যাখ্যাত ফুলের মতো, যার প্রয়োজন ফুরোলো প্রায়।
এই “না পাওয়ার শহরে” প্রতিদিনই তো কতো গল্প নিঁখোজ হয়; তাল মিলাতে না পেরে মুখ থুবড়ে কতো স্বপ্ন ব্যর্থ হয়; তবে আমাদের ভুল কি ছিলো?

রৌদ্রহীতা!
কল্পপুরের গল্পগুলো কি কল্পনাতেই থেকে যাবে? তারা কি কখনোই সজীব, সচল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে না? না-কি এটাই শেষ গল্প, যার শুরুটা হয়েছিলো—
বেনামী বিচ্ছেদের পোষাকপরে...

 উত্তরা, ঢাকা।

No comments:

Post a Comment

জনপ্রিয় আর্টিকেলগুলো দেখুন....

নিঃশব্দ অন্তর্ধান

  কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো, চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো— ধীরে ধীরে। কোনো অভিযোগ না রেখে। কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে। সেদিন হয়তো...