আজ জোসনাভরা আকাশে- হাসিখুশি চাঁদটাকে জিজ্ঞেস করলাম,
Tuesday, December 17, 2024
অবহেলা
Saturday, August 31, 2024
থমকে কেবল আমি!
Wednesday, July 31, 2024
রৌদ্রহীতা
আমাদের বেখেয়ালি গল্পটা কোথায় শুরু হয়েছিলো বলতে পারো? মনে আছে কি তোমার?
ঘটা করে কোন দিন-তারিখের হিসেবে নয়,
বলতে পারো- আড়াইটি বছরের বড্ড তৃষ্ণার্ত, মৃতপ্রায় এক গুচ্ছ আগাছা হয়ে বেড়ে উঠেছিলাম আমরা। কবিতায় যতবার সংসার পেতেছিলাম তোমার সাথে,
বাস্তবে তার চেয়েও বহুবার গুটিয়ে নিয়েছি মন।
এইতো সেদিনই,
আমার দু’হাতের মুঠোভর্তি সোনালি রঙের অবাধ্য আলো হয়ে— ছিলে তুমি;
যার পরন্ত বিকেলের ছিটকেপড়া রোদে—
ব্যয়বহুল অবসরের ভাগীদার হতাম অল্পক্ষণ।
স্থিরচিত্রে দেখলাম—
তোমার ধূসর রাঙা চোখের উপর আবছা কয়েক গুছি চুল ঝুলছে। জুম করতে-করতে ভুলেই গিয়েছিলাম,
তোমার আর মায়া পুষে রাখার ইচ্ছে নেই।
রৌদ্রহীতা!
ঠিক কখন দুজন-দুজনাকে এক মুহূর্ত 'না দেখে থাকতে পারা'র সময়টুকু পার করে ফেলেছিলাম বলতে পারো?
জানতাম, এভাবে কাউকে চাইতে নেই, চাইতে হয়না।
কারণ, দুজনের বিচ্ছেদে কেউ একজন চলে যেতে পারলেও, অপরজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় আর ভীষণ অপমানের এই মৃত্যু নিয়েই, তাকে অনন্তকালের জন্য ভেবে নিতে হয়—
প্রাপকহীন কোন খামে গুঁজে দেয়া প্রত্যাখ্যাত ফুলের মতো, যার প্রয়োজন ফুরোলো প্রায়।
এই “না পাওয়ার শহরে” প্রতিদিনই তো কতো গল্প নিঁখোজ হয়; তাল মিলাতে না পেরে মুখ থুবড়ে কতো স্বপ্ন ব্যর্থ হয়; তবে আমাদের ভুল কি ছিলো?
রৌদ্রহীতা!
কল্পপুরের গল্পগুলো কি কল্পনাতেই থেকে যাবে? তারা কি কখনোই সজীব, সচল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে না? না-কি এটাই শেষ গল্প, যার শুরুটা হয়েছিলো—
বেনামী বিচ্ছেদের পোষাকপরে...
উত্তরা, ঢাকা।
Tuesday, July 30, 2024
ভালোবাসার সংজ্ঞা
কুয়াশা মোড়ানো সূর্যকে প্রশ্ন করেছিলাম, "ভালোবাসা কি?"
সূর্য বলেছিলো,
"আমার আলোয় ঝলসে উঠা একফোঁটা শিশির বিন্দুই ভালোবাসা।"
অপরিচিতা
অপরিচিতা!
তুমি আমাকে দেখতে চাও, অথচ আমার কোন অবয়ব নেই। আমি মিশে থাকি কলমের কালিতে। কবিতার পঙক্তিতে। ভোরের শিশির বিন্দুতে। বইয়ের কালো অক্ষরে। শব্দরা যেখানে ভীড় করে!
অপরিচিতা!
তুমি আমাকে ছুঁয়ে দেখতে চাও, অথচ আমার কোন শরীর নেই। আমাকে ছুঁয়ে দিও জোসনার আলোতে। ঝরাপাতার মড়মড় শব্দে। ঘাসের ডগায় মুক্তোসম শিশির ফোঁটাতে। পুকুরের পানিতে; সোনালী রোদ যখন হেঁসে ওঠে।
কলমের কালো কালির মাঝেই আমি লুকিয়ে থাকি। আমাকে দেখতে পাবে বিরামচিহ্নের মাঝে। বাক্যের শেষে। শব্দরা যেখানে শেষ হয়ে আসে।
সাধুসঙ্গে সানজিদা ম্যাম
![]() |
তোমরা একে অপরের হাতে হাত রেখে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিও, সুখে থেকো আজ ও আগামী... |
(রিকুয়েষ্ট এক্সেস [Request Access] পাঠিয়ে রাখুন। গৃহীত হওয়ার সাথে-সাথে বইটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।)
মা
মা....
কেমন আছো তুমি?
কতোদিন তোমায় দেখি না!
সেই চোখ, সেই দৃষ্টি- আর
ঠোঁটের কোনায় পড়ন্ত রোদের মতো-
একফালি কমলা হাসি...
তুমি ওভাবে হাসলেই, হাসনুহানার গন্ধ পেতাম;
তোমায় কোনদিন বলিনি।
আজ এতোদূরে এসে বুঝলাম!
জানো মা,
আসল রক্ত-মাংসের শরীর
আর ছবিতে শুধু- একটাই তফাৎ,
ছবি যতই সুন্দর হোক না আর
তার হাসি- যতোই সুন্দর হোক না কেন (?)
তাতে হাসনুহানার গন্ধ থাকে না!
—নারায়ণগঞ্জে থাকাকালীন
তোমাকে দেখার নেশা
তোমায় একটিবার দেখার ক্ষুধা-
আমাকে কোনভাবেই ঘুমোতে দিচ্ছে না।
যেমন হয় অকাল অনাহারে কোন বৃদ্ধের...
তার অসহায় স্পর্শে—
ফাঁকা হাড়ি কেমন ঝন্ঝন্ শব্দে জানিয়ে দেয়
তার দৈন্যতা।
এ পথ- সে পথ ঘুরে-ঘুরে সমস্ত লোকালয়ে চেয়ে দেখেছি-
তুমি নেই !
তোমাকে একটিবার দেখার উদ্ধত আকাঙ্খা-
বারবার আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে-
সেই বৃদ্ধের চাঁদ ছোঁয়ার কল্পনা;
অথবা সেই কাতর বৃদ্ধের নিস্তেজ দেহটাকে,
দেয়াল ধরে বাঁচিয়ে রাখার মত ভরসা।
আমিও শেষ নিঃশ্বাস অব্দি হেঁটেছি,
হেঁটেছি তোমার প্রস্থানের সেই পথ ধরে।
আমি দেখেছি, দেখেছি...
সব শেষে সেই বৃদ্ধের শুকনো ঠোঁটের মত
আমার ক্লান্ত চোখ-
শেষবার দেখেছে গুমোট সেই আকাশ !
তবুও তোমাকে দেখেতে পারে নি।
তোমাকে দেখার নেশা প্রতিটি মুহুর্তেই
রাসেল ভাইপারের মতো দংশিত করে চলেছে...
(বারো/পাঁচ/চব্বিশ)
ঢাকা।
জনপ্রিয় আর্টিকেলগুলো দেখুন....
নিঃশব্দ অন্তর্ধান
কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো, চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো— ধীরে ধীরে। কোনো অভিযোগ না রেখে। কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে। সেদিন হয়তো...
