Sunday, June 29, 2025

নিঃশব্দ অন্তর্ধান

 

কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো,
চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো—
ধীরে ধীরে।
কোনো অভিযোগ না রেখে।
কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে।

সেদিন হয়তো বাতাস বইবে আগের মতোই,
নদীও হয়তো বয়ে যাবে তার নিজস্ব সুরে,
শুধু আমি এক চিলতে কুয়াশার মতো গলে যাবো;
কারো দৃষ্টির আড়ালে,
অপার্থিব শূন্যতার কোলে।

হৃদয়জুড়ে তুমি

 

শুনো চন্দ্রিমা, আমার সবটুকু ভালোবাসা সঞ্চিত করে রেখেছি— তোমাকে উপহার দেবো বলে। আমার সকল ভাবনা জুড়ে যেমন মিশে আছো, তেমনই মিশে থেকো আমার হৃদয়জুড়ে।

প্রেমপদ্য

স্যার!
আমি আপনার প্রেমে পড়েছি কিন্তু,
ছাত্রী হয়ে কখনো বলতে পারিনি আপনাকে।
আজ এতোটা পথে এসে নিরুপায় হয়েছি,
—যদি আমার মতো কেউ আপনার কাছে ছুটে আসে!

ক্লাসরুমের প্রতিটি মুহূর্তে,
আপনার উপস্থিতি এক অজানা আকর্ষণ,
যেন হৃদয়ের এক নিষিদ্ধ পাঠ।

বড্ড ভয় হয়,
যদি আপনি ভালো না বাসেন! 
কিংবা অবজ্ঞা ভরে ক্লাস থেকে তাড়িয়ে দেন!
যদি আমার মনের অনুভূতি,
আপনার কাছে শুধুই এক সাধারণ অধ্যায় হয়ে থাকে?
লজ্জা, ভয়, অদৃশ্য শিহরণ আর—
কাঁপা-কাঁপা কলমে আপনাকে লিখছি...
জানিনা, কপালে কী আছে!

স্যার!
আপনার কথা ও লেকচারগুলোর প্রেমেপড়েছি  বহুবার,
কিন্তু আপনাকে বোঝানোর সাহস পাইনি এখনো!
মনে হয়, এতে কোনো ভুল করছি না তো?
ছাত্রী হয়ে প্রেমের কবিতা লেখা,
নিয়মের খাতা ভেঙে হৃদয়ের গল্প বলা,
স্যার, এসবই কি অন্যায়?

প্রিয় অধ্যাপক!
সত্যিটা আজও বদলায়নি,
আমি আপনার প্রেমে পড়েছি…
একবার নয়, বারবার,
আপনার নরম হাসির প্রতিটি শব্দে,
আপনার চাহনির প্রতিটি ছন্দে।
আপনি কি কখনো বুঝবেন আমাকে?
নাকি এই প্রেম শুধু নিঃশব্দে—
ক্লাসের শেষ ঘণ্টার মতো বেজে যাবে...

-আপনার প্রথম বেঞ্চের ছাত্রী
তন্নী (একাদশ শ্রেণী)
নিউরন স্কুল এন্ড কলেজ ঢাকা।

(উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০)

Saturday, June 28, 2025

তোমাকে দেখার নেশা


তোমায় একটিবার দেখার ক্ষুধা-
আমাকে কোনভাবেই ঘুমোতে দিচ্ছে না। 
যেমন হয় অকাল অনাহারে কোন বৃদ্ধের...

তার অসহায় স্পর্শে—
ফাঁকা হাড়ি কেমন ঝনঝন শব্দে,
জানিয়ে দেয় তার দৈন্যতা। 
এ পথ- সে পথ ঘুরে-ঘুরে সমস্ত লোকালয়ে চেয়ে দেখেছি- 
তুমি নেই !

তোমাকে একটিবার দেখার উদ্ধত আকাঙ্খা-
বারবার আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে-
সেই বৃদ্ধের চাঁদ ছোঁয়ার কল্পনা;
অথবা সেই কাতর বৃদ্ধের নিস্তেজ দেহটাকে,
দেয়াল ধরে বাঁচিয়ে রাখার মত ভরসা। 
আমিও শেষ নিঃশ্বাস অব্দি হেঁটেছি, 
হেঁটেছি তোমার প্রস্থানের সেই পথ ধরে। 

সব শেষে সেই বৃদ্ধের শুকনো ঠোঁটের মত আমার ক্লান্ত চোখ-
শেষবার দেখেছে গুমোট সেই আকাশ ! 
তবুও তোমাকে দেখেতে পারে নি। 
তোমাকে দেখার নেশা প্রতিটি মুহুর্তেই—
রাসেল ভাইপারের মতো দংশিত করে চলেছে...

—উত্তরা, ঢাকা।

বিশ্বাসের বিনিময়ে

 

—একটি অসম প্রতিশ্রুতির কবিতা


তুমি বলেছিলে— "একদিন আমার ফটো দেবো",
সেদিন আমায় প্রাণভরে দেখো।
আমি গিয়েছিলাম সে 'একদিন'-এর পথে
ছবি নয়, বিশ্বাস তুলে ধরেছিলাম,
মনটা দিয়েছিলাম কাঁচের চিঠির মতো। 
তুমি আমাকে দেখতে চাইলে—
তিনটে ফটো, চারটে হাসি,
আর অগোচরে একরাশ ভালোবাসা পাঠালাম...
পরিবর্তে—
একরত্তি নীরবতা পাঠালে। 
তুমি বলো— "আমি ছলনা করিনি!"
আমি ভাবি— ছলনা তো সে-ই করে,
যে নিরবতাকে ভাষা বানায়,
আর প্রতিশ্রুতিকে শুধুই বকুলফুলের গন্ধে ভাসায়। 
আমি নারীর ছলনা বুঝি না,
আমি সরলতায় বিশ্বাস রাখি,
তাই হেরে যাই প্রতিবার…
বিশ্বাসের বিনিময়ে কষ্ট কিনে আনি। 
ভালো থেকো— এই কথাটুকু দিয়েই
আমার শেষ ফ্রেমটা আঁকি।
তুমি যেদিন আসবে— আমি থাকবো না,
শুধু পড়ে থাকবে—
একটা অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতির গল্প…
আর তার পাশে আমার একটা ছবি।


-টিএসসি, ঢাবি ক্যাম্পাস


জনপ্রিয় আর্টিকেলগুলো দেখুন....

নিঃশব্দ অন্তর্ধান

  কোনো একদিন নিঃশব্দে চলে যাবো, চলে যাবো ঠিক সূর্যাস্তের শেষ রঙের মতো— ধীরে ধীরে। কোনো অভিযোগ না রেখে। কোনো বিদায়ের শব্দ না তুলে। সেদিন হয়তো...